অ্যান্টি-পলিউশন স্কিনকেয়ার: ধুলোবালি ও দূষণ থেকে ত্বক বাঁচানোর পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন
আমাদের শহরের বাতাস এবং আপনার ত্বক
ধাপ ১: জেন্টল ক্লিনজিং: সকালে খুব কড়া ফেসওয়াশ ব্যবহার করবেন না। এতে ত্বকের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট হয়ে যেতে পারে। হালকা বা জেন্টল কোনো ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। ধাপ ২: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সিরাম (ভিটামিন সি): এটি হলো অ্যান্টি-পলিউশন রুটিনের সুপারহিরো। ভিটামিন সি সিরাম ফ্রি র্যাডিক্যালসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। সকালে ক্লিনজিংয়ের পর ভিটামিন সি সিরাম ব্যবহার করলে এটি আপনার ত্বকের ওপর একটা অদৃশ্য ঢাল তৈরি করে। ধাপ ৩: ময়েশ্চারাইজার: ত্বক হাইড্রেটেড বা ভেজা থাকলে দূষণ কম ক্ষতি করতে পারে। আপনার ত্বকের ধরন (তৈলাক্ত বা শুষ্ক) অনুযায়ী ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। হায়ালুরনিক অ্যাসিড যুক্ত ময়েশ্চারাইজার এক্ষেত্রে খুব ভালো কাজ করে। ধাপ ৪: সানস্ক্রিন (অবশ্যই!): আকাশ মেঘলা থাকুক বা রোদ থাকুক, সানস্ক্রিন ছাড়া বাইরে যাওয়া মানে ত্বককে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দেওয়া। সানস্ক্রিন শুধু রোদ নয়, বাতাসের ক্ষতিকর কণা থেকেও ত্বককে রক্ষা করে। এমন সানস্ক্রিন বাছুন যা ‘Broad Spectrum’ এবং এসপিএফ ৫০ (SPF 50) যুক্ত।
ধাপ ১: ডাবল ক্লিনজিং (Double Cleansing): এটি অ্যান্টি-পলিউশন রুটিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রথমে একটি অয়েল-বেসড ক্লিনজার বা বাম (Cleansing Balm) দিয়ে মেকআপ এবং সানস্ক্রিন গলিয়ে ফেলুন। তেলের সাথে ধুলোবালি উঠে আসবে। এরপর সাধারণ ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এই দুই ধাপে ধোয়াকে বলে ডাবল ক্লিনজিং। ধাপ ২: এক্সফোলিয়েশন (সপ্তাহে ২ দিন): ত্বকের মৃত কোষ এবং লোমকূপের ভেতরে জমে থাকা ময়লা বের করতে সপ্তাহে ১-২ বার রাসায়নিক এক্সফোলিয়েটর (BHA বা Salicylic Acid) ব্যবহার করুন। তবে স্ক্রাব দিয়ে জোরে ঘষবেন না। ধাপ ৩: রিপেয়ারিং সিরাম বা নাইট ক্রিম: রাতে আমাদের ত্বক নিজেকে রিপেয়ার বা মেরামত করে। এই সময় নিয়াসিনামাইড (Niacinamide) বা রেটিনল (Retinol) যুক্ত সিরাম ব্যবহার করতে পারেন। নিয়াসিনামাইড ত্বকের ব্যারিয়ার ঠিক করতে দারুণ কাজ করে। ধাপ ৪: ভারী ময়েশ্চারাইজার: রাতে একটু ভারী বা থিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন যা সারারাত ত্বককে পুষ্টি দেবে।
প্রচুর পানি পান করুন: শরীর ভেতর থেকে পরিষ্কার থাকলে ত্বকও ভালো থাকে। ডিটক্স ওয়াটার (লেবু বা শসা মিশ্রিত পানি) খেতে পারেন। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত খাবার: রঙিন শাকসবজি, ফলমূল এবং গ্রিন টি নিয়মিত খান। বালিশের কভার পরিবর্তন: সপ্তাহে অন্তত একবার বালিশের কভার ধুয়ে দিন, কারণ এতেও ধুলোবালি জমে থাকে যা রাতে ত্বকে লাগে। মুখে হাত দেবেন না: আমাদের হাতে প্রচুর জীবাণু থাকে। বাইরে থাকা অবস্থায় বার বার মুখে হাত দিলে একনি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
আরো পড়ুন:
১. জিমে না গিয়েই ফ্যাট লস: দৈনন্দিন জীবনের যে ১০টি সাধারণ অভ্যাসে মাখন বাটার মতো গলবে শরীরের চর্বি
২. মাথার ত্বক কি সাহারা মরুভূমি? শুষ্কতা ও চুলকানি দূর করে স্ক্যাল্পকে সতেজ করার পূর্ণাঙ্গ গাইড
৩. Acne নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী উপায়: কারণ, সমাধান ও কার্যকর ট্রিটমেন্টে সুস্থ ত্বক ফিরে পাওয়া
Leave a Reply
Your email address will not be published. Required fields are marked *




.webp)
 (1080 x 1080 px).webp)
.webp)
.webp)
.webp)